ফ্রী গেস্ট পোস্ট বা ফ্রী ব্যাকলিংক পেতে আপনার লেখা পোস্ট করুন যোগাযোগ করুন পোস্ট করুন!

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে ! বিস্তারিত জানুন

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে !
ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে ! 

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে ! 

ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করে। আমাদের দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে। ডেঙ্গু রোগটি এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং এর ফলে উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধির ব্যথা, এবং ত্বকে র‍্যাশ দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে এটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম (DSS) রূপ নিতে পারে, যা জীবননাশক হতে পারে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। এডিস মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করতে আমাদের আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলা, এবং মশার কামড় থেকে রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এই ব্লগে আমরা ডেঙ্গুর লক্ষণ, জটিলতা, এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমাদের লক্ষ্য হল ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগের প্রভাব কমানো। আসুন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি এবং একটি সুস্থ ও নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলি।

ডেঙ্গু কীঃ 

ডেঙ্গু হল একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয় এবং এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগটি সাধারণত গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি প্রধান সেরোটাইপ রয়েছে: DEN-1, DEN-2, DEN-3, এবং DEN-4। এর ফলে একজন ব্যক্তি একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে।

ডেঙ্গুর লক্ষণসমূহঃ 

ডেঙ্গুর লক্ষণগুলি সাধারণত মশার কামড়ের ৪-১০ দিন পর দেখা দেয় এবং এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

  •  **উচ্চ জ্বর** (১০৪°F বা ৪০°C পর্যন্ত হতে পারে)
  •  **তীব্র মাথাব্যথা**
  •  **চোখের পিছনে ব্যথা**
  •  **মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধির ব্যথা** (যার ফলে এটি "breakbone fever" নামে পরিচিত)
  •  **বমি বমি ভাব ও বমি**
  •  **ত্বকে র‍্যাশ**
  •  **ক্লান্তি ও দুর্বলতা**

ডেঙ্গুর জটিলতাঃ 

কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু গুরুতর হতে পারে এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম (DSS) হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রক্তক্ষরণ, প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া, এবং রক্তচাপের পতন ঘটে, যা জীবননাশক হতে পারে।

প্রতিকার ও প্রতিরোধঃ 

ডেঙ্গুর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে লক্ষণগুলি উপশমের জন্য চিকিৎসা করা হয়। প্রচুর তরল গ্রহণ, বিশ্রাম এবং ব্যথা বা জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া। এর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারেঃ 

  • 1. মশারি বা মশা নিরোধক ব্যবহার করা।
  • 2. এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে এমন স্থানগুলি ধ্বংস করা (যেমন, জমে থাকা পানি)।
  • 3. পুরো হাতা জামা এবং লম্বা প্যান্ট পরা।
  • 4. মশার বিরোধী স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার করা।

ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগের প্রভাব কমানো সম্ভব। সঠিকভাবে সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার: কারণ, প্রভাব, এবং প্রতিরোধঃ 

ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগটি প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশেষ করে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু রোগের বিস্তার, এর কারণ, প্রভাব, এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে এই ব্লগ আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

## ডেঙ্গু রোগের কারণ ঃ 

ডেঙ্গু রোগের প্রধান কারণ হলো ডেঙ্গু ভাইরাস, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। প্রধানত এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশা এই ভাইরাস বহন করে। 

1. **এডিস মশার কামড়**: ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত এডিস মশা যখন কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন মশার লালার মাধ্যমে ভাইরাসটি ব্যক্তির রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে এবং তাকে সংক্রমিত করে।

2. **সংক্রমণের চক্র**: ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি মশার কামড়ে সংক্রমিত হলে, মশাটিও ভাইরাসের বাহক হয়ে যায়। এরপর মশাটি অন্য কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে, সেই ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। এই চক্রটি অব্যাহত থাকে এবং রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।

##ডেঙ্গু রোগের বিস্তারের প্রধান কারণসমূহঃ 

1. **মশার আবাসস্থল**: এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। জমে থাকা পানি, যেমন ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, এবং বোতলে পানি জমে থাকলে মশার বংশবৃদ্ধির উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

2. **আবহাওয়ার প্রভাব**: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া মশার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক।

3. **জনসংখ্যার ঘনত্ব**: ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, কারণ সেখানে মশার কামড়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

4. **পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা না থাকা**: যেখানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেই, সেখানে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

## ডেঙ্গু রোগের প্রভাবঃ 

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • 1. **উচ্চ জ্বর**
  • 2. **তীব্র মাথাব্যথা**
  • 3. **চোখের পিছনে ব্যথা**
  • 4. **মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধির ব্যথা**
  • 5. **বমি বমি ভাব ও বমি**
  • 6. **ত্বকে র‍্যাশ**
  • 7. **ক্লান্তি ও দুর্বলতা**

কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু গুরুতর রূপ নিতে পারে, যা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম (DSS) হিসেবে পরিচিত। এই অবস্থায় রক্তক্ষরণ, প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া, এবং রক্তচাপের পতন ঘটে, যা জীবননাশক হতে পারে।

## ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়ঃ 

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়কেই সচেতন হতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে:

1. **মশার আবাসস্থল ধ্বংস**: 

  •    - বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে হবে।
  •    - ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, এবং অন্যান্য পানির পাত্র পরিষ্কার রাখতে হবে।

2. **ব্যক্তিগত সুরক্ষা**:

  •    - মশারি ব্যবহার করতে হবে।
  •    - দিনের বেলা এবং রাতে সম্পূর্ণ হাতা জামা ও লম্বা প্যান্ট পরিধান করতে হবে।
  •    - মশার প্রতিরোধক স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

3. **সামাজিক উদ্যোগ**:

  •    - স্থানীয় কমিউনিটি এবং স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত।
  •    - জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রচারণা চালানো।

4. **পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা**:

  •    - বাড়ির আশেপাশে এবং অভ্যন্তরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
  •    - নালা ও জলাশয় নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।

5. **স্বাস্থ্যসেবা**:

  •    - ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  •    - সঠিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যোগাযোগ করা উচিত।

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে !
ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে ! 


## ডেঙ্গু রোগের বিস্তার: প্রতিরোধ ও সচেতনতার গুরুত্বঃ 

ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ বছরে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে এবং কখনও কখনও মারাত্মক জটিলতার দিকে ধাবিত হয়। এই ব্লগ আর্টিকেলে আমরা ডেঙ্গু রোগের বিস্তার, এর প্রতিরোধ এবং সচেতনতার গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

## ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ কীভাবে ঘটে?

ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহক হলো এডিস ইজিপ্টি মশা, তবে এডিস এলবোপিকটাস মশাও এটি ছড়াতে পারে। এডিস মশা দিনের বেলায়, বিশেষ করে ভোর এবং সন্ধ্যায় বেশি সক্রিয় থাকে। ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

1. **মশার কামড়**: যখন এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন মশার দেহে ভাইরাস প্রবেশ করে।

2. **ভাইরাসের বিস্তার**: ভাইরাসটি মশার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশেষ করে মশার লালাগ্রন্থিতে জমা হয়।

3. **আবার কামড়**: মশাটি যখন আবার একটি সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন তার লালার মাধ্যমে ভাইরাসটি সুস্থ ব্যক্তির রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে এবং তাকে সংক্রমিত করে।

## ডেঙ্গু রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের উপায়ঃ 

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কিছু পদক্ষেপ রয়েছে, যা ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়কেই গ্রহণ করতে হবে:

1. **মশার আবাসস্থল ধ্বংস**:

   - এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। তাই বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানির উৎসগুলি (যেমন, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, বোতল, এবং অন্যান্য পানির পাত্র) ধ্বংস করতে হবে।

   - নালা ও জলাশয় নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।


2. **ব্যক্তিগত সুরক্ষা**:

   - মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মশারি ব্যবহার করা উচিত।

   - দিনের বেলা এবং রাতে সম্পূর্ণ হাতা জামা ও লম্বা প্যান্ট পরিধান করা।

   - মশার প্রতিরোধক স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার করা।


3. **সামাজিক উদ্যোগ**:

   - স্থানীয় কমিউনিটি এবং স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত।

   - জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রচারণা চালানো।


4. **প্রতিরোধমূলক ওষুধ ও ভ্যাকসিন**:

   - বর্তমানে ডেঙ্গুর জন্য কিছু ভ্যাকসিন রয়েছে, তবে এগুলি এখনও সব জায়গায় সহজলভ্য নয়। তাই অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি অত্যন্ত জরুরি।

## ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত মশার কামড়ের ৪-১০ দিন পর শুরু হয়। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

  • - উচ্চ জ্বর
  • - তীব্র মাথাব্যথা
  • - চোখের পিছনে ব্যথা
  • - মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধির ব্যথা
  • - বমি বমি ভাব ও বমি
  • - ত্বকে র‍্যাশ
  • - ক্লান্তি ও দুর্বলতা

কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু গুরুতর হতে পারে এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম (DSS) হতে পারে, যা জীবননাশক হতে পারে। তাই ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

# ডেঙ্গু প্রতিরোধে কমিউনিটির ভূমিকা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কমিউনিটির সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমিউনিটির সদস্যরা যদি মশার বংশবৃদ্ধি রোধে একত্রিত হয়ে কাজ করেন, তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। 

1. **স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ**:

   - স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা।

   - বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালানো।

   

2. **স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান**:

   - শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

   - নিয়মিতভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা।


3. **স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ**:

   - মশার বংশবৃদ্ধি রোধে নিয়মিত ফগিং করা।

   - স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করা।

## শেষ কথা ঃ 

ডেঙ্গু একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, তবে সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব। মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, এবং সমাজের সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূলমন্ত্র। আসুন, আমরা সবাই মিলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করি এবং একটি সুস্থ, নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলি।

আপনাদের আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর সমূহঃ 

ডেংগু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে?

ভাইরাস বহনকারী ডেঙ্গু মশা একজন ব্যক্তিকে কামড়ালে, ভাইরাস মশার লালার সঙ্গে মিশে রক্তে প্রবেশ করে। এটি রক্তের শ্বেতকণিকাতে প্রবেশ করে, কোষের ভিতর প্রজনন করে এবং সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি?

ডেঙ্গু সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ নেই । আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে, তাহলে আপনার অ্যাসিটামিনোফেনের সাথে ব্যথা উপশমকারী ব্যবহার করা উচিত এবং অ্যাসপিরিনযুক্ত ওষুধগুলি এড়ানো উচিত, যা রক্তপাতকে আরও খারাপ করতে পারে। এছাড়াও আপনার বিশ্রাম করা উচিত, প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা উচিত এবং আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।

ডেঙ্গু জ্বরের পর দুর্বলতা দূর করার উপায়?

আনারসের রস রোগীদের স্বাভাবিক ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে, উচ্চ জ্বরের কারণে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে এবং শরীরের দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের পুনরুদ্ধারের সময়কালে প্রতিদিন দুই কাপ নারকেল জল পান করা উচিত।

ডেঙ্গু হলে সুস্থ হতে কতদিন লাগে?

লক্ষণ. ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকের হালকা বা কোন উপসর্গ নেই এবং 1-2 সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে। কদাচিৎ, ডেঙ্গু মারাত্মক হতে পারে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। উপসর্গ দেখা দিলে, সাধারণত সংক্রমণের 4-10 দিন পরে শুরু হয় এবং 2-7 দিন স্থায়ী হয়।

ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কোথায় ঘটে?

পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রজাতির মশার মধ্যে এডিস এজিপ্টি ভয়ঙ্কর। প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, ডেঙ্গু জ্বর রোগটি প্রথম ১৯৫২ সালে আফ্রিকাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন- ভারত,শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়াতে এটি বিস্তার লাভ করে।

ডেঙ্গু রোগীর কতটুকু পানি পান করা উচিত?

যদি রোগী তৃষ্ণার্ত বোধ করেন, তৃষ্ণা না কমানো পর্যন্ত দিনে 3-4 বার অতিরিক্ত তরল গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়। আপনার সমস্ত তরল গ্রহণ এবং সময়ের সাথে আপনি যে পরিমাণ প্রস্রাব করেছেন তা রেকর্ড করুন এবং আপনার ডাক্তারকে দেখান।

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন শরীরে থাকে?

সাধারণত, সংক্রামিত এডিস ইজিপ্টি মশা দ্বারা কামড়ানোর চার দিন পরে, একজন ব্যক্তির ভিরেমিয়া হয়, এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তে ডেঙ্গু ভাইরাসের উচ্চ মাত্রা থাকে। ভিরেমিয়া প্রায় পাঁচ দিন স্থায়ী হয়, তবে বারো দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে ।

ডেঙ্গু জ্বরের ফুসকুড়ি কতদিন থাকে?

ডেঙ্গু জ্বরে ফুসকুড়ি হল একটি ম্যাকুলোপ্যাপুলার বা ম্যাকুলার সঙ্গমযুক্ত ফুসকুড়ি যা মুখ, থোরাক্স এবং ফ্লেক্সর পৃষ্ঠের উপর ত্বকের দ্বীপগুলিকে রক্ষা করে। ফুসকুড়ি সাধারণত 3 দিন থেকে শুরু হয় এবং 2-3 দিন স্থায়ী হয়।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন থাকে?

প্রথম ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে পুনরুদ্ধার করার পরে, একজন ব্যক্তি দুই থেকে তিন মাসের জন্য অবশিষ্ট তিনটি ডেঙ্গু সেরোটাইপের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে। দুর্ভাগ্যবশত, এটি দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা নয়, এবং সেই স্বল্প সময়ের পরে, একজন ব্যক্তি বাকি তিনটি ডেঙ্গু সেরোটাইপের যে কোনোটিতে সংক্রমিত হতে পারে।

ডেঙ্গু পরীক্ষা কত টাকা লাগে?

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বিভিন্ন পরীক্ষার মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর মধ্যে এনএস-১ পরীক্ষা ৩০০ টাকা, সিবিসি ৪০০ টাকা ও আইজিএম ৩০০ টাকা।

ডেঙ্গু হলে কখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়?

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোককে বহির্বিভাগের রোগী হিসাবে চিকিৎসা করা যেতে পারে, তবে যদি ক্লান্তি, অলসতা, অলসতা, পেটে ব্যথা বা লিভারে ব্যথা বৃদ্ধির লক্ষণ থাকে ... তাদের ডাক্তারের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। সময়মত চিকিত্সা।

ডেঙ্গু টেস্টের রেজাল্ট কতদিন লাগে?

কোষ সংস্কৃতিতে ডেঙ্গু ভাইরাসের বিচ্ছিন্নতা এবং সনাক্তকরণ সাধারণত বেশ কয়েক দিন সময় নেয়। চমৎকার কর্মক্ষমতা বৈশিষ্ট্য সহ নিউক্লিক অ্যাসিড সনাক্তকরণ অ্যাসেস 24-48 ঘন্টার মধ্যে ডেঙ্গু ভাইরাল আরএনএ সনাক্ত করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Profit Creators Blog Discuss Gest Posting
Hello, How can we help you?
Start chat...