ajkerit

সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান - যীশুর গীর্জা (শ্যামনগর) Places to visit in Satkhira District - Church of Jesus

 
সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান - যীশুর গীর্জা (শ্যামনগর)
সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান - যীশুর গীর্জা (শ্যামনগর)

সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান - যীশুর গীর্জা 

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে বাংলাদেশের প্রথম খ্রিস্টান গির্জা অবস্থিত ছিল।১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামক একজন স্পেনিস ব্যক্তির নেতৃত্বে জেসুইট বা যিশু সম্প্রদায় গঠিত হওয়ার পর খ্রিস্টধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য খ্রিস্টানগণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন।সে আমলে এ মহাদেশে খ্রিস্টধর্ম প্রচার সম্পর্কিত তথ্যাদি পাওয়া যায় পিয়ারে ডু জারিক নামক একজন ফ্রান্সবাসী ঐতিহাসিকের ইতিহাস থেকে ডু জারিকের

তথ্যানুযায়ী সে সময়ে বাকলা, শ্রীপুর ও যশোহর নামে তিনটি হিন্দু রাজ্য ছিল ।তঁfর দেওয়া তথ্যাদি থেকে আরো জানা যায় , ফনসেকা নামক একজন খ্রিস্টান পাদ্রী নদীপথে ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ নভেম্বর প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ঈশ্বরীপুরে পৌছান । সেখানে তিনি অন্য একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ফাদার সোসার সাক্ষাৎ পান । অত:পর ফাদার সোসও ফনসেকা ২১ নভেম্বর প্রতাপাদিত্যের দরবার কক্ষ বারদুয়ারীতে উপস্থিত হয়ে রাজাকে বেরিঙ্গান নামের এক প্রকার সুস্বাদু কমলালেবু উপহার দেন এবং বারদুয়ারী ভবনের উত্তর-পূর্ব কোণে যেখানে খ্রিস্টান পল্লী অবস্থিত সেখানে একটি গির্জা নির্মাণের প্রস্তাব করেন । প্রতাপাদিত্য আনন্দের সঙ্গে এ প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করেন।

প্রতাপাদিত্যের ফরমান পাওয়ার পরই গির্জা নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যায় । ঐ সময়ে প্রতাপাদিত্যের সৈন্য বাহিনীতে বহু পর্তুগীজ সৈন্য কর্মরত ছিলেন । গির্জা নির্মাণের জন্য তারা সাধ্যমত অর্থ সাহায্য করেন । এছাড়া প্রতাপাদিত্য নিজের রাজধানীতে খ্রিস্টানদের উপাসনালয় নির্মাণের জন্য প্রভূত সাহায্য সহযোগিতা করেন ।১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গির্জার নির্মাণ কাজ শেষ হয় । নির্মাণ সময় বিচারে যশোরের ঈশ্বরীপুর গ্রামের গির্জা বাংলাদেশের নির্মিত প্রথম খ্রিস্টান গির্জা ।

যিশুর গির্জা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম খ্রিস্টান গীর্জা।

যীশুর গীর্জা ইতিহাসঃঃ 

১৫৪০ সালে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামক একজন স্পানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। খ্রিস্টানেরা যিশুর বাণী প্রচার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েন। ফরাসি ঐতিহাসিক পিয়েরে ডু জারিকে তথ্যমতে পাদ্রী ফনসেকো ১৫৯৯ সালের ২০ নভেম্বর প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ঈশ্বরীপুরে পৌঁছান[২] এবং ২০ নভেম্বর রাজার দরবারে উপস্থিত হয়ে খ্রিস্টান পল্লীতে গির্জা নির্মাণের অনুমতি প্রার্থনা করেন। প্রতাপাদিত্যের সম্মতি পেয়ে গির্জার নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রতাপাদিত্য খ্রিস্টানদের গির্জা নির্মাণে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। ১৫৯৯ সালে ঈশ্বরীপুরে বাংলাদেশের প্রথম খিস্টান গির্জার নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

যীশুর গীর্জা অবস্থানঃ 

সাতক্ষীরা শহর থেকে আনুমানিক ৫৫-৬০ কিলোমিটার দূরে শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুরে যিশুর গির্জা অবস্থিত।

যীশুর গীর্জা যাতায়াতঃ 

বাংলাদেশের প্রথম গির্জা নির্মাণের স্থান দেখতে যেতে হলে বাস এবং ভ্যানে অথবা মোটরবাইকে করে যেতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

  • শহর থেকে আনুমানিক দুরত্ব ৭৫ কিলোমিটার।
  • রাস্তার নাম সাতক্ষীরা শ্যামনগর সড়ক (স্থান-শ্যামনগর)।
  • স্পটে পৌছানোর ব্যয় ৬৫.০০ টাকা।
  • ভ্রমণের জন্য পাওয়া যায় বাস ও ভ্যান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit
ajkerit
ajkerit
ajkerit