বাংলা রোমান্টিক গল্প ❤️ তোমার নামে ❤️ পর্ব - ০১ Bangla Romantic Story ❤️ Tomar Nemee No - 01
বাংলা রোমান্টিক গল্প ❤️ তোমার নামে ❤️ পর্ব - ০১ |
বাংলা রোমান্টিক গল্প ❤️ তোমার নামে ❤️ পর্ব - ০১
তীব্র আক্রোশে ফেটে পড়লেন নয়ন আহমেদ।তার চাপা ক্ষোপ যেনো চোখ দিয়ে উপচে পড়তে চাইলো।নিজের সহধর্মীনির এহেন কথায় মস্তিষ্ক তড়াক করে উঠলো তার।নয়ন আহমেদ কিছুইতেই তার বড় মেয়ের আগে ছোট মেয়েকে বিয়ে দিবেন না।নয়ন আহমেদের স্ত্রী রূপা মিনমিনে গলায় তাচ্ছিল্য নিয়ে বললেন---
"স্নিগ্ধতার কপাল ভালো ইবরায নিজে ওর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে।নাহলে ওই মেয়েকে বিয়ে তো কোনো এড়েগেড়ের সাথেই দিতে হবে।"
নয়ন আহমেদ শান দেওয়া তরোয়ালের মতো ধারালো কন্ঠে বললেন---
"রূপা ভেবে চিন্তে কথা বলো।আমার মেয়ে ভেসে আসেনি বানের জলে।একজন নারী হিসেবে সমস্ত গুণ তার আছে।গায়ের রঙ চাপা বলে আমার মেয়ে কোনো ফেলনা নয়।"
রূপা নমনীয় গলায় বলে উঠেন----
"আপনি শুধু শুধু ঝামেলা বাড়াচ্ছেন।আপনি নিজেই ভাবুন ইবরাযের মতো ছেলেকে আদৌ আমাদের স্নিগ্ধতার মতো মেয়ে ডিজার্ব করে?
তবুও ছেলেটা স্বইচ্ছায় একা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে।আর খেয়ার কথা ছাড়ুন।লাখে এক আমাদের খেয়া।ওকে যে দেখবে সেই পছন্দ করবে।আপনি না করবেন না আর।ভালোই ভালো স্নিগ্ধতার বিয়েটা হয়ে যাক।"
নয়ন আহমেদ বিগড়ে গলায় বললেন---
"বাজে বকোনা তুমি।যে ছেলে নিজের বিয়ের প্রস্তাব নিজে নিয়ে আসে সে কেমন তা আমি ভালো করে বুঝতে পারছি।আর তুমি কতটুকু চেনো ইবরাযকে?ওর ভাই কমিশনারের খাস লোক।আর ইবরায পাড়ায় মাস্তানি করে বেড়ায়।কোনো গুন্ডার সাথে আমি আমার সাদাসিধে মেয়ের বিয়ে দিবো না।"
রূপা ছলকে উঠে বললেন---
"আপনার মেয়ে কোনো অপ্সরা নয়।ছেলের একটু দোষ থাকেই।বিয়ে হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।এ নিয়ে আর কথা বলবেন না।"
নয়ন আহমেদ নিভে গেলেন।কিন্তু ছাই চাপা আগুন রয়ে গেলো।বসার ঘরে দিব্যি আয়েশ করে বসে আছে ইবরায।একরোখা,একগুঁয়ে আর অপ্রতিরোধ্য ইবরায দেখতে যথেষ্ট সুদর্শন।মাথা ভর্তি ঝাঁকড়া চুল।গম্ভীর দুই চোখ আর অধরে লুকায়িত হাসি।এই হাসির মানে বোঝা বড্ড দায়।কোনোরকম ভারি অভিব্যক্তি ছাড়াই সেন্টার টেবিলে রাখা চানাচুরের পিরিচ থেকে বেছে বেছে বাদাম মুখে দিচ্ছে ইবরায।নয়ন আহমেদ চাপা রাগ নিয়ে এসে বসলেন ইবরাযের সামনের কাউচে।ইবরায স্মিতহাস্য অধরে তাকালো।রূপা আসলেন না।খানিক সময় পর তিনি কাউকে নিয়ে আসলেন।ইবরাযের মধ্যে কোনো ভাবান্তর হলো না।সে ব্যস্ত বাদাম বেছে খাওয়াতে।কিন্তু পাশে বসা রোমানের চোখ আটকে যায় শ্যামসুন্দরী স্নিগ্ধতার ওই স্নিগ্ধ রুপে।সদ্যস্নান করে বেরিয়ে মিষ্টি কালারের একটা কালো পাড়ের সুতি শাড়ি পরেছে স্নিগ্ধতা।ভরাট গালে ভ্রমরকালো ভ্রু জোড়ার নিচে ঘন পল্লবের দুই মায়াবী চোখ।যেনো গহীন অরন্য।যাতে একবার তাকালেই পথ হারিয়ে যাবে।হাতভর্তি করেছে মাল্টি কালারের রেশমি চুড়িতে।তার ভেজা চুলের উপর উঠানো ঘোমটা।টিপিক্যাল বাঙালী রমনি টাইপ।মুখের উপর ছড়ানো কৃত্রিম সাজসজ্জার ভাব বোঝা যাচ্ছে।কিন্তু চোখ দুটোতে কোন কৃত্রিমতা নেই।আছে একরাশ স্বস্তি,ভালো লাগা আর ঘোর লাগা আচ্ছন্নতা।রোমান নির্নিমেখ চেয়েই রইলো।
হাতে থাকা ট্রে থেকে চায়ের কাপ এগিয়ে দেয় স্নিগ্ধতা।রোমান হাত বাড়াতেই তার চোখ পড়ে স্নিগ্ধতার কানের লতিতে।ছোট্ট ঝুমকো বাদেও সেখানে আরও একটা জিনিস দেখার আছে।আর তা হলো একটা ছোট্ট তিল।চায়ের কাপ হাতে নিতে নিতে সেদিকে চোখের পল্লব ছড়িয়ে তাকিয়ে আছে রোমান।স্নিগ্ধতা দু'বার চোখের পল্লব ফেলে সরে আসে।ইবরাযের সামনে দাঁড়াতেই চোখ উঠিয়ে তাকায় ইবরায।তাদের বসার পেছনে জানালা।তার পর্দা সেটে দেওয়া দুই পাশে।লোহার গ্রীল কেটে পড়ন্ত বিকেলের শেষ সূর্য রশ্মি গলগলিয়ে ঢুকে ছুঁয়ে দেয় স্নিগ্ধতার হাত।সেই হাত বাড়িয়েই চায়ের কাপ তুলে দেয় ইবরাযের মুখপানে।ইবরায নরম চোখে তাকায়।কোনো ভারী প্রতিক্রিয়া করলো না সে।কিন্তু আড়ালে তার তর্জনী ছুঁইয়ে দিলো স্নিগ্ধতার অচেনা পুরুষ অস্পর্শিত হাত যাতে বিদ্যুৎ খেলে গেলো তার শিরা উপশিরায়।দাঁড়াতে পারলো না স্নিগ্ধতা।সলজ্জ চোখ দুটো নামিয়ে গুটি গুটি পায়ে ভেতর ঘরে চলে যায় সে।রোমান এখনো চেয়ে আছে সেদিকে।ইবরায চায়ের কাপে চুমুক দেয়।চা পান করে স্মিত হাসে।তার অধর জুড়ে সেই স্মিত হাসির রেখায় চুম্বকীয় টান অনুভব করে তার সামনের যেকোনো মানুষ।রূপাও তার ব্যতিক্রম নয়।চকচক চোখে আপাদমস্তক দেখছে ইবরাযকে।তার ভীষণ পছন্দ হয়েছে।নিজের শ্যামবর্ণ,সহজ সরল আর ঘরোয়া মেয়ের জন্য এতো ভালো পাত্র তিনি কস্মিনকালে তার ভাবনাতে আনেন নি।হৃদয় গলানো হাসলো ইবরায।অত্যন্ত বিমোহিত সুরে বললো---
"আমি আপনাদের অপ্রস্তুত করতে চাই নি।তাই আগে থেকেই সবটা জানিয়ে দিলাম।কাল আমার ভাই,ভাবি আসবে।আমার পছন্দই তাদের পছন্দ।"
রূপা আনন্দে গদগদ হয়ে বললেন---
"বেশ,বেশ।আমি সব ঠিক করে রাখবো।তুমি কোনো চিন্তা করো না বাবা।আর স্নিগ্ধতা আমার মেয়ে বলে বলছি না।গায়ের রঙ কালো হলে কী হবে মেয়ে আমার লাখে এক।কী বলেন আপনি!
নিজের স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন রূপা।কিন্তু তাতে তেমন সুবিধা হলো না তার।নয়ন আহমেদ গটগট করে উঠে চলে গেলেন।রূপা নিজের ক্ষন মুহূর্তে পাংশুবর্ণ ধারণ করা চেহারা মসৃণ স্নিগ্ধ করে হেসে হেসে বললেন---
"আসলে মেয়েকে ভীষণ ভালোবাসে তো তাই মন খারাপ হচ্ছে।তুমি কিছু মনে করো না বাবা।"
কোনোরকম ভাবাবেগ ছাড়াই রোমান ক্ষীন গলায় বলে উঠে---
"স্নিগ্ধতা মোটেই কালো নয়।উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ।"
রোমানের কথায় বিরক্ত হলেন রূপা।চোখ পিটপিট করে তাচ্ছল্য প্রকাশ করলেন।ইবরাযের দিকে তাকিয়েই আহ্লাদী হাসলেন।বললেন---
"আমার মেয়েটা কিন্তু অনেক গুনের।দেখবে তোমাদের সংসারটা একদম গুঁছিয়ে রাখবে।"
মনে মনে চটলো ইবরায।তার এইসবে কোনো আগ্রহ নেই।এই মেয়েটার নামটাও তার কাছে আকাশসম বিরক্তিকর লাগে।তবুও ঠোঁটে ঝোলায় টানটান প্রসন্নতার কৃত্রিম হাসি।
নিজের পাজেরো জীপের দরজা খুলতেই খেয়াল করে রোমান স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ভ্রু কুঁচকালো ইবরায।চোখটা অদ্ভুত ভাবে বাকিয়ে বললো--
"দাঁড়িয়ে আছিস কেন?গাড়িতে উঠ।"
রোমান উন্মনা গলায় বললো---
"মেয়েটা রুপবতী না হলেও মায়াবতী।ওর চোখ দুটোর দিকে একবার তাকিয়ে দেখিস।আমি আজ পর্যন্ত এমন চোখ দেখিনি।যেনো বিষ মাখা কোনো তীরের ফলা।এক নিমিষেই ছেদ করে দিবে হৃদপিন্ড।"
খলখল করে হেসে উঠে ইবরায।ফিচেল গলায় বললো---
"তুই আর মানুষ হলিনা !এইভাবে গিলছিলি কেন ওই মেয়েটাকে?মেঘা জানলে তোর মাথা কেটে ঝোলাবে ওর কসাই বাপের নব্য নির্মিত কসাই প্রাসাদের সিংহ দরজায়।"
কথার শেষের আরেক পশলা হাসে ইবরায।তার কথায় কোনো ভাবাবেশ হলো না রোমানের।সে চেয়ে রইলো।ইবরায ভ্রু নাচিয়ে চিন্তিত গলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে---
"এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
রোমান আদুরে গলায় বললো--
"দেখ,স্নিগ্ধতা আমাদের দেখছে।"
ইবরাযের সমান্তরাল কপালে মসৃণ ভাঁজ ফুটে উঠে।ধীরগতিতে ফিরে তাকাতেই জানালার পাশ থেকে অদৃশ্য হয় স্নিগ্ধতার অবয়ব।দুই বন্ধু কিছুক্ষন চেয়ে রইলো নিরবচ্ছিন্নভাবে।
,
,
,
ইবতেহাজের অগ্নি চোখের সামনেও অত্যন্ত স্বাভাবিক ইবরায।খোসা ছাড়িয়ে একের পর এক বাদাম খেয়ে যাচ্ছে।ইবতেহাজ উষ্ণ গলায় বললো---
"আমি তোর থেকে এমনটা আশা করি নি ইবরায!
ইবরায অধর কিঞ্চিৎ প্রসারিত করে হাসলো।তার হাসি তার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।ইবতেহাজ সংক্ষুব্ধ গলায় বললো---
"কিছু জিঙ্গেস করেছি তোকে আমি।"
ইবরায বাদাম ভর্তি হাতের মুঠে ফুঁ দিলো।বাদামের উপরিয়াংশের লাল পাতলা আবরণ উড়ে গিয়ে ঝরে পড়তে লাগলো ইবতেহাজের চোখের সামনে।ইবতেহাজ দারাজ গলায় বললো---
"ইবরায!
ইবরায সটান করে তার পাশে বসা দাদুর কোলে শুয়ে পড়লো।হালিমা বেগম পরম আদরে নাতির চুলে হাত গলালেন।চোখ,মুখ বিকৃত করে শাসিয়ে উঠলেন তিনি--
"খবরদার ইবু!আমার ইবরাযের লগে এমনে কথা কইবি না।"
ইবতেহাজ অতি সম্মানের সুরে বললো---
"দাদীজান,আপনিই বলেন ইবরায যা করেছে তা কী আদৌও ঠিক?
হালিমা বেগম গালভর্তি পান চিবিয়ে বললেন---
"ওতো কথা কইতে পারুম না।আমার ইবরায যা কইছে তাই হইবো।ওই বেয়াদ্দব মাইয়ার সাহস কতো!আমার নাতির লগে তিরিংবিরিং করে।শোন ইবরায,ওই মাইয়ারে এই বাড়ির বান্দী বানাইয়া আনবি।ওরে দিয়ে ঘরের বেবাক কাম করামু আমি।"
হতভম্ব দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ইবতেহাজ।তবে অবাক হলো না।বাবা,মায়ের মৃত্যুর পর ছোট ভাইকে বুকে আগলে বড় করেছে ইবতেহাজ।কোনো ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেনি।দাদুর চোখের তারা ইবরায।নিজে না খেলেও ইবরাযের হাসি ভরা মুখ দেখে হালিমা বেগম দিন পার করে দিতে পারেন।দাদুর হাতে ভয়ংকর চুমু খেলো ইবরায।দাম্ভিকতার সাথে বললো---
"মাই গ্রেট বুড়ি!এই নাহলে আমার দাদীজান।"
হালিমা বেগম আনন্দে আটখানা হয়ে ইবরাযের কপালে চুমু দিতেই আঁতকে উঠে বসে ইবরায।তিরিক্ষি গলায় বললো--
"আরে বুড়ি করলিটা কী!দিলি তো আমার কপালটা লাল করে!কতবার বলেছি পান খেয়ে একদম আমার কাছে আসবি না।ওঠ বুড়ি,ওঠ।"
হালিমা বেগম ইবরাযের হঠাৎ চিৎকারে হটকে উঠলেন।ভয়ে থু থু ছিটাতে লাগলেন বুকে।ইবরায আবারও তাড়া দিয়ে বললো---
"ভাবি বুড়িকে যেতে বলো বলছি।নাহলে কিন্তু ওর মাথা ফাটাবো আমি।"
প্রিয়া চট জলদি হালিমা বেগমের হাত ধরে তাকে উঠালেন।নাক ছিটকে বললেন হালিমা বেগম--
"সর,সর।একদম ছুঁইবি না তুই আমারে।আমি নিজেই যাইতে পারুম।"
প্রিয়া তবুও তাদের গৃহকর্মী জোছনাকে ডাকলো।ইশারায় হালিমা বেগমকে নিয়ে যেতে বললো।ইবতেহাজ মৃদু গলায় বললো---
"এইবার বল তুই কী করতে চাস?
ইবরায স্বাভাবিক গলায় বললো--
"বিয়ে।"
"স্নিগ্ধতার সাথে এর কী সম্পর্ক?
ইবরায ভারী প্রতিক্রিয়া ছাড়া বললো--
"খেয়া সবচেয়ে বেশি ওর বোনকে ভালোবাসে।তাই ওকে পেতে হলে আমাকে স্নিগ্ধতাকে চাই।"
ইবতেহাজ বিষিয়ে উঠা গলায় বললো--
"বিয়ে কোনো ছেলে খেলা নয়।"
"ভালোবাসাও ছেলেখেলা নয়।আমাকে ডাবলক্রস করার শাস্তি তো খেয়াকে পেতেই হবে।"
ইবতেহাজ কিছু বলতে যাবে তার আগেই অতি উৎসাহের সাথে প্রিয়া বললো--
"এই যদি লাস্ট টাইমে খেয়া রাজী না হয়।তখন কী হবে ইবরায?
ইবরায ফিচেল হেসে খালি গলায় বললো---
"আর কী হবে ওই স্নিগ্ধতা নাকি মুগ্ধতা ওটাকে বিয়ে করে আনবো।তুমি না বললে সেদিন একটা ভালো কাজের মেয়ে খুঁজছো।শুনেছি ঘরের সব কাজ নাকি জানে।তাহলে তোমার আর চিন্তেই থাকবে না।"
হালকা হেসে উঠতেই প্রিয়ার দিকে তপ্ত চোখে তাকায় ইবতেহাজ।তার হাসি ক্ষণবাদেই মিশে যায় বাতাসে।ইবতেহাজ থমথমে গলায় বললো--
"একটা মেয়েকে এইভাবে অপদস্ত করার কোনো মানে হয় না ইবরায।বিয়েটা যদি তখন না হয় মেয়েটার কী হবে?কে বিয়ে করবে ওকে?
ইবরায নির্বিঘ্ন গলায় বললো--
"তোমার পার্টি অফিসের জয়নাল আছে না!গত মাসে যার বউ মরেছে।ওর সাথে কথা বলেছি।লাস্ট টাইমে বাধ্য হয়ে বরের অভাব হলে বিয়েটা জয়নালের সাথেই হবে।সিম্পল।"
ইবতেহাজ গর্জে উঠে বললো--
"হোয়াট রাবিশ!মানে কী?
"মানে কিছুই না।তুমি এই নিয়ে আর ঝামেলা করবে না ভাইয়া।তাহলে কিন্তু আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।"
ইবতেহাজ গজরাতে গজরাতে উঠে গেলো।ইবরাযের পাশ ঘেঁষে বসলো প্রিয়া।মজা করে উদ্দীপনা নিয়ে বললো---
"মেয়েটাকে সত্যিই বিয়ে করবে না তুমি?
ইবরায গায়ে হেলা দিয়ে বললো---
"পাগল হয়েছো!ওই মেয়েকে বিয়ে করবো আমি!আরে ওকে তো আমার খেয়ার বোনই মনে হয় না।আই এম ডেম শিউর!ওই মেয়েকে নিশ্চয়ই কোনো অনাথ আশ্রম থেকে তুলে নিয়ে এসেছে।"
"মেয়েটাকি দেখতে ভালো নয়?
"আই ডোন্ট নো।আই হেট হার।একবারই তাকিয়েছি।এর চেয়েও তো জোছনার মার জোছনাও ভালো ভাবি।ছিঃ!
চোখ কুঁচকালো প্রিয়া।এখন সত্যিই তার ভয় হচ্ছে।যদি বিয়েটা হয়ে যায়।তাহলে নরক বানিয়ে ছাড়বে তার জীবন ইবরায।যেমনটা তার সাথেও হচ্ছে।
নিজের ঘরে এসে ক্লান্তিতে গা জমে এলো ইবরাযের।বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই প্রশান্তি ছুঁয়ে খেলো তাকে।মোবাইলটা বের করে কল করে তার প্রিয় একজন মানুষকে।ডায়াল করতেই সানাফ নামটা ভেসে উঠে স্ক্রীনে।ওপাশের ব্যক্তিটি কল রিসিভ করতেই হাস্যোজ্জ্বল গলায় বলে উঠে ইবরায---
"টোপ ফেলেছি মেরে ভাই।এইবার মাছলি গিললো বলে।একবার ওই খেয়াকে হাতের কাছে পাই।হেল বানিয়ে ছাড়বো ওর লাইফ।সাথে ওর বোন ফ্রি।"
- ❤️ তোমার নামে ❤️
- ❤️লেখকঃ তাজরিয়ান খান তানভি❤️
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url