সুস্থ থাকতে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন সজনে পাতা
সুস্থ থাকতে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন সজনে পাতা |
সুস্থ থাকতে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন সজনে পাতা
সজিনা গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ভেষজ। গবেষকরা সজিনা পাতাকে পুষ্টিকর সুপারফুড এবং সজিনা গাছকে অলৌকিক গাছ বলে। সজিনা পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে কর্মক্ষম করে তোলে। আসুন এই পোস্টের কার্যকারিতা দেখিঃ
এই পাতার অনেক গুণাবলী এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এতে লেবুর চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। যা আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। আর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে
সজিনা পাতায় ডিমের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ প্রোটিন এবং দুধের চেয়ে চারগুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। সজিনার ডাটা অন্ধত্ব দূর করতেও বেশ কার্যকর, কারণ এতে গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। তাই যারা অন্ধত্বের সমস্যায় ভুগছেন তারা সজন পাতা খেলে উপকার পাবেন।
সবুজ পাতার চেয়ে পঁচিশ গুণ বেশি আয়রন থাকায় সজিনা পাতা রক্তশূন্যতাও দূর করে। এতে কলার চেয়ে তিনগুণ বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণে সজিনা পাতা খুবই উপকারী।
এ ছাড়াও এই পাতা আমাদের শরীরে অ্যান্টিজিঙ্ক হিসেবে কাজ করে, হার্টকে সুস্থ রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তারুণ্য ধরে রাখতেও সজিনা পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি হাঁপানি রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী, কারণ একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে তিন সপ্তাহ ধরে দিনে দুবার তিন গ্রাম পাতা খাওয়া উপকারী।
সাজিনার বিজে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি পানি বিশুদ্ধ করতে খুবই কার্যকরী। সাজিনা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। গর্ভাবস্থার পর সব মায়ের জন্য সজিনা পাতা খুবই উপকারী। এছাড়াও সজিনা পাতায় নিরানব্বই ধরনের পুষ্টি, ছেচল্লিশ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আঠারো ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড এবং আট ধরনের অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। তাই সজিনা পাতাকে বলা হয় পুষ্টিকর সুপারফুড, প্রাকৃতিক মাল্টিভিটামিন এবং অলৌকিক সবজি।
ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, কোলাইটিস এবং জন্ডিসের সময় ব্যাপক শুশ্রূষাকারী সজনে পাতার ঝোল। কাঁচা পাতার রস খেতে পারলে তো কথাই নেই। এছাড়াও শত বছর ধরে প্রায় তিনশরও বেশি রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সজিনা পাতা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে, যেমন ভাজা,রান্না, বড়া,ভর্তা ও শুকিয়ে গুড়ো করে।নিয়মিত সজিনা পাতা বা মরিঙ্গা খাওয়ার ফলে আমরা আমাদের দেহকে করতে পারি সুস্থ, সবল ও সতেজ। কারণ এটি মানবদেহের জন্য দারুণ উপকারী।
আরো পড়ুনঃ আমাদের এই পোস্ট গুলো
- সাজনা পাতার অপকারিতা
- সজনে পাতার ব্যবহার
- ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
- সজনে পাতার জুস
- সজনে পাতার পাউডার খাওয়ার নিয়ম
- সাজনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ডায়াবেটিস রোগীর সজনে পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url