ফ্রী গেস্ট পোস্ট বা ফ্রী ব্যাকলিংক পেতে আপনার লেখা পোস্ট করুন যোগাযোগ করুন পোস্ট করুন!

বাংলা ইসলামিক গল্প 🌺আলো🌺 পর্ব - ০৯ Bangla Islamic Story 🌺 Alo 🌺 No- 09

বাংলা ইসলামিক গল্প 🌺আলো🌺 পর্ব - ০৯
বাংলা ইসলামিক গল্প 🌺আলো🌺 পর্ব - ০৯


বাংলা ইসলামিক গল্প 🌺আলো🌺 পর্ব - ০৯

বাসায় গিয়ে শায়লা চৌধুরীর জন্য যে একটা শাড়ী এনেছিল সেটা দিলো। শায়লা চৌধুরীও বেশ খুশি। ভোর আগেই রুমে চলে গেছে। আলো শাশুড়ি রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।

ভোর ওয়াশরুম থেকে বের হয়নি এখনো।  আলো একটা সুতির হাল্কা থ্রি-পিস নিয়ে আর সব ড্রেসগুলো আলমারিতে রেখে দিলো।

একটুপর ভোর বের হলো শুধু একটা টাওয়াল পড়ে। আলো তো ভোরের দিকে হা করে তাঁকিয়ে রইল। ভোরের ছোট ছোট চুলগুলো দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। কি বডি! আলোকে ওভাবে তাঁকিয়ে থাকতে দেখে...

ভোরঃঃ কি ব্যাপার এভাবে তাঁকিয়ে আছেন কেন??

আলোঃঃ আপনি এভাবে শুধু টাওয়াল পড়ে এসেছেন যে??

ভোরঃঃ আপনি বাথ টাওয়াল পড়ে বের হতে পারলে আমি কেন পারব না?? 

আলোঃঃ মানুষটা এত সুন্দর দেখতে কেন?? উফ ছুঁয়ে দিতে মন চাচ্ছে। ((মনে মনে))

আলো আস্তে আস্তে ভোর কাছে গিয়ে ভোরের বুকের উপর বিন্দু বিন্দু পানি তার উপর হাত রাখল। ভোর কিছু বলছে না।

আলোঃঃ কত সুন্দর একটা বুক। কিন্তু একটা পশমও নাই। এজন্যই আপনি এত পাথর। বুকে কোনো ভালোবাসা নাই। বুকে যাদের পশম থাকে তাদের অনেক মায়া থাকে। 

বলেই আলো ভোরকে ক্রস করে ওয়াশরুমে চলে গেলো আর ভোর ভাবছে.... অদ্ভুত এই মেয়ে।

১১ টা প্রায় ডিনার করে যে যার রুমে চলে গেলো। আলো সব কিছু গুছিয়ে রেখে রুমে এলো। ভোর বেডে বসে ফোন টিপছে।  আলো ওয়াশরুম থেকে এসে ধুপপ করে ভোরের কোলে উঠে বসলো।

ভোরঃঃ কি হচ্ছে টা কি? আপনি যখন তখন এভাবে কোলে বসেন কেন? আমার এসব একটুও ভালো লাগে না।((রাগি মুডে))

আলোঃঃ আমাদের অনেকেরই অনেক কিছু ভালো লাগে না।  তবুও আমাদের কিছু করার থাকে না। যেমন সিঙ্গাপুরে আপনি যা করেছিলেন সেটা আমারও সেদিন ভালো লাগেনি। কিন্তু দেখুন সেই আমি কোথায় আপনাকে ঘৃণা করব তা না উল্টো প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলছি বিয়ের পর। তাই আমার এসবও আপনার ভালো লাগাতে হবে। এখন তাড়াতাড়ি আপনার টি-শার্টটা খুলুন।

((বলেই ভোরের টি-শার্ট ধরে টানাটানি))

ভোরঃঃ উফফফফ টি-শার্ট খুলব কেন?? ((রাগী ভাব))

আলোঃঃ খুলতে তো হবেই আমি যখন চাচ্ছি তবে তো খুলতে হবেই হবে। কুইক

ভোরঃঃ এবার কিন্তু আপনি লিমিট ক্রস করছেন।

আলোঃঃ আমার বরের সাথে করছি আপনার কি??  খুলতে বলছি খুলুন।

ভোরঃঃ আমি কিন্তু আপনার গায়ে হাত তুলতে বাধ্য হবো।

আলোঃঃ বাধ্য হবেন কেন?? আমি আপনার বৌ। আমার গায়ে যখন খুশি তখন হাত রাখতে পারনে তবে যদি সেই রাখায় আমি ব্যথা পাই তো সোজা মায়ের কাছে বিচার চলে যাবে। ((একটা হাসি দিয়ে))

ভোরঃঃ কি ভাবেন নিজেকে??

আলোঃঃ আপনার বৌ। নিন খুলুন বলছি।

অবশেষে টি-শার্টটা খুলেই নিলো আলো। তারপর ওয়াশরুমে চলে গেলো। 

একটুপর টি-শার্টটা পড়ে আলো ওয়াশরুম থেকে বের হলো। ভোর তো পুরা থ।

ভোরঃঃ আপনি এটা পড়েছেন কেন??

আলোঃঃ আজ থেকে আপনি বাসায় এসে যে টি-শার্টটা পড়বেন ওটা খুলে ঘুমাবেন ওটা পড়ে আমি ঘুমাবো।

ভোরঃঃ তাহলে আমি কি পড়ে ঘুমাবো??

আলোঃঃ আপনি খালি গায়ে ঘুমাবেন আর আমি আপনার বুকে ঘুমাবো তাহলেই তো আর খালি গা ফিল হবে না।

ভোরঃঃ আপনার কি ড্রেস নাই যে আমার টি-শার্ট পড়ে ঘুমাবেন??

আলোঃঃ বেশি কথা বলেন তাই না? যত্তসব।

বলেই ভোরের বুকের উপর মাথা দিলো জোর করে।  এদিকে ভোর পড়ছে মহা জ্বালায়। নিজের রাগকে কত কষ্টে কন্ট্রোল করে।  কিছু বললেই তো শায়লা চৌধুরীকে বলে দিবে সেই কারনে কিছু বলতেও পারে। বুকে শোবার ১০মিনিট পর.....

আলোঃঃ উফফফফ এভাবে ঘুমানো যায়??((মাথাটা একটু উঁচু করে ভোরের দিকে বিরক্তির ছাপ নিয়ে তাঁকিয়ে))

ভোরঃঃ কি হইছে আবার?? ((রাগী মুডে))

আলোঃঃ আমাকে জড়িয়ে ধরছেন না কেন?? আমার বুঝি ভয় লাগে না?? 

ভোরঃঃ কিসের ভয়?? (অবাক হয়ে))

আলোঃঃ ভুতের। যদি ভুত আমাকে টেনে নিয়ে যায়? জড়িয়ে ধরুন।

ভোরঃঃ oh god... আমি পাগল হয়ে যাবো এই মেয়ের জন্য।

আলোঃঃ পাগল হতে হবে না। আপাতত জড়িয়ে ধরুন।

ভোরঃঃ পারব না।  

আলোঃঃ কেন পারবেন না?? ১০মিনিট ধরে কিস তো ঠিকই করতে পেরেছিলেন এখন জড়িয়ে ধরলে কি হবে??

ভোর এক প্রকার লজ্জা পেয়ে জড়িয়ে ধরলো। তবে একটা বিরক্তি একটা ভাব আছেই।

আলো এবার মনে মনে খুশি হয়ে চুপটি করে ভোরের বুকে শুয়ে পড়ল।

৫মিনিট যেতে না যেতে...

আলোঃঃ স্যার(( বুকে শুয়েই))

ভোরঃ....

আলোঃঃ স্যাররর((একটু নড়ে বললো))

ভোরঃঃ উফফফফ আবার কি?

আলোঃঃ তখন আমাকে যে কিস করেছিলেন কেমন ছিলো সেটা?

ভোরঃঃ stop this... ঘুমান।

আলোঃঃ না।  আগে বলুন কেমন ছিলো?

ভোরঃঃ উফফফ জানি না।

আলোঃঃ বলুন না স্যার.......

ভোরঃঃ জানি না বলছি না! ((রাগী মুড))

আলোঃঃ ওকে জানাচ্ছি...

বলেই আলো ভোরের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।  ভোর কেন যেন কিছুই বলতে পারলো না। কিন্তু তারপরও ভোরের কোনো রেসপন্স ছিল না।

৫মিনিট পর ছেড়ে দিয়ে আবার বুকে মাথা রাখল...

আলোঃঃ এবার বলুন কেমন??

ভোরঃঃ আমি ঘুমাবো। সকালে অফিস আছে আর একটা শব্দ শুনলে আমার থেকে কেউ খারাপ হবে না। mind it...

আলোঃঃ আমি কত বেহায়া হয়ে গেছি শুধুমাত্র আপনার জন্য।  আপনাকে এখন আর ভয় লাগে না। আগে কত ভয় পেতাম। আপনাকে অনেক ভালোবাসি আপনি বুঝবেন একদিন। আপনি আমার বর। আপনাকে আমার মন..দেহ সব কিছু দিয়ে হলেও নিজের করে নিবো। শুধু আমার হবেন আপনি। শুধুই আমার।  তাতে যতই আমায় বেহায়া হতে হোক না কেন? আমি আপনার অভ্যাস হতে চাই। আমি আপনার বুকের এই স্পন্দন হতে চাই। ভালোবাসি স্যার। খুব ভালোবাসি। ((মনে মনে বলল))

ফজরের আজানে আলোর ঘুম ভেঙ্গে যায়। চোখ খুলে দেখে ভোর আলোর বুকের উপর শুয়ে আছে। আলোর সারা শরীরে শিহরণ খেলে যায়।  ভোর আলাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। ভোরের একটা হাত আলোর পেটে উপর। 

ভোরের পড়া টি-শার্টটা অনেক উপরে উঠে আলোর।  পেটটা পুরো উন্মুক্ত।  আলোর ইচ্ছা করছে না একদমই ভোরকে নিজের বুক থেকে সরাতে।  কিন্তু এভাবে থাকলে আলো নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবে না। তাই আলো অবশেষে ভোরকে ডাক দিলো...

আলোঃঃ স্যার....

ভোরঃঃ..........

আলোঃঃ স্যার(( একটু জোরে))

ভোরঃঃ উমমমম....

ভোর একটু নড়েচড়ে আবার শান্ত হয়ে গেলো। নড়াচড়ার সময় ভোরের হাত ৩/৪ বার আলোর উন্মুক্ত পেটে টাচ করে থেমে যায় আর আলো পুরো ফ্রিজড হয়ে যায়। আলোর নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে। অনেক কষ্টে আবার ডাক দেয়...

আলোঃঃ স্যাররর... (( ধাক্কা দিয়ে))

ভোরঃঃ উমমম কি?? (( ঘুমের কন্ঠে))

আলোঃঃ আমাকে উপর থেকে সরুন। আমি উঠব।

ভোরঃঃ উমমমমম। ঘুমাতে দিন। ((ঘুমের কন্ঠে))

আলোঃঃ স্যাররর সরুন আমি উঠব।(( জোরে বললো))

ভোর চোখটা খুলে নিজেকে আবিষ্কার করলো আলোর বুকের উপর। সাথে সাথে সরে গেলো। আলোও চুপটি করে উঠে গিয়ে অজু করে নামাজ পড়ে ভোরের কাছে গেলো।

আলোঃঃ স্যার...

ভোরঃঃ উফফ আবার কি?(( চোখ বুঝে))

আলোঃঃ উঠুন। নামাজ পড়বেন।

ভোরঃঃ ঘুমাতে দিন প্লীজ।

আলোঃঃ উঠুন বলছি। নামাজ পড়ে ঘুমাবেন। ((রাগী কন্ঠে))

ভোরঃঃ পড়ব না। যান এখান থেকে।

আলোঃঃ ওকে। দেখাচ্ছি।

বলেই পাশেই পানির গ্লাসে পানি রাখা সেটা ভোরের মুখে মারে। আর ভোর এক লাফ দিয়ে উঠে...

ভোরঃঃ কি করলেন এটা??(( রাগী মুডে))

আলোঃঃ ভালোয় ভালো উঠতে বলছিলাম উঠেননি তাই পানি মারতে বাধ্য হলাম। যান অজু করে নামাজ পড়বেন।

ভোরঃঃ আপনার সাহস অনেক বেড়ে গেছে তাই না??

এই বলেই আলোর দিকে মারার হাত বাড়ায়...

আলোঃঃ মাআআ...

ভোর সাথে সাথে আলোর মুখ চেপে ধরে অগ্নি দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে থাকে। আলো ভয় পেয়ে যায়। তবুও ভয়কে জয় করে ভোরকে ধাক্কা দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়...

আলোঃঃ রাক্ষস...এভাবে কেউ চেপে ধরে মুখ?? উহহ কত ব্যথা পাইছি। আমি মাকে সব বলে দিবো।

ভোরঃঃ আমি রাক্ষস?? আর মাকে বলে দিবেন?? ((রাগী মুডে))

আলোঃঃ হ্যাঁ আপনি রাক্ষস। নামাজ পড়লে বলবো না কিছু প্রমিস।

ভোর আর উপায় না পেয়ে রাগে গজগজ করতে করতে ওয়াশরুমে গেলো। তারপর অজু করে নামাজ পড়লো।

নামাজ পড়ে বেডে বসলো তখন আলো এসে ভোরের কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো... এই তো আমার লক্ষী বর। ভোর কিছু না বলে শুয়ে পড়ল।

চলবে..............

((ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। পরবর্তী পর্ব পেতে পেজে চোখ রাখুন। ধন্যবাদ🙂))

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Profit Creators Blog Discuss Gest Posting
Hello, How can we help you?
Start chat...