খিচুড়ি রান্নার উপকরণ গুলো কি কি ?
খিচুড়ি একটি পরিপূর্ণ প্রস্তুতি যা প্রায়শই ভারতীয় উপমহাদেশে খাওয়া হয়। এটা একটি পুষ্টিকর ও সহজেই প্রস্তুত হয় খাদ্য যা চাল ও সবজির সাথে মিশে তৈরি করা হয়। এটা একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্যে বিশেষত ধরার ক্ষেত্রে।
খিচুড়ি প্রস্তুত করার জন্য চাল বা চালের অন্যান্য ধরনের খাদ্যগুড়ি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত চালটি পুরানো পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে সেদ্ধ করা হয়। এরপরে সেদ্ধ চালে তেল বা ঘি দিয়ে ভেজা হয়। আরও একটি ধরনের খিচুড়ি হয় ভেগেটেরিয়ান খিচুড়ি যেখানে প্রধানত পালং শাক বা পালংগাছ ব্যবহার করা হয়।
খিচুড়ি সাধারণত দাল বা সবজি দিয়ে পরিবর্তন করা হয় এবং প্রকৃত গরম সবজি বা লবণ, মসলা দিয়ে সাজানো হয়। ধারালো সামগ্রী খিচুড়িতে মিশিয়ে দেওয়া হয় এবং সাধারণত এটি দাঁড়িয়ে খাওয়া হয়।
খিচুড়ি প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্যে খাওয়া হয়, কিন্তু এটি ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খিচুড়ি একটি সরাসরি ভোজন হয় বা মঠে দান করা হয়, যা ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি মুদিখানি খাদ্য যা উপভোগ করা হয় সাধারণত গরম পানিতে ভিজিয়ে।
খিচুড়ি রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো নিম্নলিখিত হতে পারে:
1. চাল: সাধারণত বাসমতি চাল বা সোনামুখি চাল ব্যবহার করা হয়।
2. দাল: মুসুর দাল, মসুর দাল বা আরহর দাল ব্যবহার করা হয়।
3. সবজি: আধা কাপ মিক্সড সবজি (মাটর, গাজর, ফুলকপি, আলু ইত্যাদি) বা প্রায় যেকোনো পছন্দসই সবজি ব্যবহার করা যায়।
4. তেল বা ঘি: সাধারণত সরিষার তেল, সাদা তেল, ঘি বা মোহনভোগ ঘি ব্যবহার করা হয়।
5. মসলা: জিরা, ধনিয়া পাউডার, হলুদ, লবণ ইত্যাদি মসলা ব্যবহার করা হয়।
6. গারম পানি: চাল উবালানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম পানি প্রয়োজন।
7. পানি: সেদ্ধ চালে প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি।
8. গারমাল: পরিবেশনার জন্য গারমাল ব্যবহার করা হয়।
এই উপকরণগুলো ব্যবহার করে খিচুড়ি রান্না করা হয় এবং আরও স্বাদিষ্ট ও সহজে খাওয়া যায়। তবে, আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী উপকরণ সমূহ পরিবর্তন করতে পারেন এবং স্বাদে ব্যক্তিগত পরিবর্তন সাধারণ রান্নার মাধ্যমে প্রয়োগ করতে পারেন।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url